হাওজা নিউজা বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, আসলে সর্ব সাধারণ ভাবে ( عُمُوْمَاً ) পাশ্চাত্য এবং বিশেষ ভাবে ( خُصُوْصَاً ) অস্ট্রেলিয়া যে চরম অভদ্র , অসভ্য , অশালীন , অনৈতিক চরিত্রহীন , লম্পট ও লুচ্চা - বদমাশ তা বিবিসির এ প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় ।
যেহেতু প্রতিবেদনটিতে বর্ণিত হয়েছে : " অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে কর্মচারীদের এক তৃতীয়াংশ ও দেশটির নারী পার্লামেন্ট সদস্যদের ৬৩ শতাংশই যৌন হয়রানির শিকার এবং রাজনৈতিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এর অনুপাত আরো বেশি !
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে প্রতি তিনজন নারী কর্মীর একজন যৌন হয়রানির শিকার । " সেহেতু অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট এ কারণে সবচেয়ে যৌন পার্লামেন্ট বলে কুখ্যাতি লাভ করেছে । অস্ট্রেলিয়ার ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা আসলে উড়ে এসে জুড়ে বসা বহিরাগত দখলদার ও ঘাতক হত্যাকারীও বটে । এরা গত দুশো বছরের অধিক কাল ধরে দেশটির দুই কোটি আদিবাসীকে হত্যা এবং জাতিগত নিধন ও সম্পূর্ণ নির্মূল করে দিয়েছে ।
তাই ১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি যা অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ দখলদারদের প্রথম পা রাখার জন্য আনুষ্ঠানিক ও সরকারী ভাবে অস্ট্রেলিয়া ডে ( দিবস ) হিসেবে পালিত হয়ে থাকে তা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কাছে ইনভেশন ডে ( আগ্রাসন দিবস ) হিসেবে গণ্য ।
ঐ দিন থেকে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের উপর নেমে আসে হত্যা , নির্যাতন , বঞ্চনা ও গঞ্জনা যা আজও অব্যাহত আছে । উড়ে এসে জুড়ে বসা দখলদার বহিরাগত শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ও অন্যান্য ইউরোপীয় অভিবাসীদের সরকার অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদেরকে রাষ্ট্রীয় ও সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছে ।
২০১২ সালে তাদের দাবি ছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড্ সরকারের কাছে তাদের যেন অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয় । কিন্তু গিলার্ড তাদের এ দাবিকে কখনো গুরুত্বের সাথে দেখেন নি ( দ্র : দৈনিক যুগান্তর , দশ দিগন্ত ২৯ - ১ - ২০১২ ) ।
আরো প্রায় দশ বছর গত হয়ে যাওয়ার পরেও অস্ট্রেলিয়ার হতভাগ্য বঞ্চিত আদিবাসীদের অবস্থা অবনতি ছাড়া উন্নতি হয় নি যদিও অস্ট্রেলিয় সরকারের প্রচার প্রোপাগ্যাণ্ডা মেশিন ঠিকই সক্রিয় আছে এবং দেখাচ্ছে যে আদিবাসীদের অবস্থার বহুত উন্নতি হয়েছে !! এটাই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া তথা পাশ্চাত্যের আসল চেহারা ও চালচিত্র ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
১৬-৯-২০২১